নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের দফায়-দফায় ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে দ্বীন ইসলাম (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত দ্বীন ইসলাম নাওড়া গ্রামের মিল্লাত সাউদের ছেলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই পক্ষের লোকজন একজন আরেকজনের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দ্বীন ইসলাম নামের যুবক নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নাওড়া এলাকায় জমি দখল-বেদখল ও বালু ভরাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন পরপরই ওই দুই গ্রুপ ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, গোলাগুলি, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হতাহতের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
ওই দুই গ্রুপের লোকজন পিস্তল, শটগান, টেটা, বল্লোম, জুইতা, রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, সামুরাইসহ আরো নানা ধরনের অস্ত্রেশস্ত্রে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এছাড়াও এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লুটপাট চালায়। এসময় নাওড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
হামলায় গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের আরিফ হোসেন, রুবেল মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, আল মামুন, সোহেল মিয়া, কামাল হোসেন, লিকন আহমেদ, জাসমিন, ওয়াসিম, সাকাতুল্লা, আনু, নুর আলমসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।