নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ (২০) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মনির হোসেন (১৮) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে একই গ্রামের আলাবক্স ব্যাপারী বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে হামলাকারী মো. রিয়াজকে (২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কামলার টেক বাজারের হাশেমের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহিদুল উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের ওয়ারিশ হাজি বাড়ির হারুনুর রশীদ কালামিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জাহিদুল ও আটক রিয়াজ উভয়ে প্রতিবেশী এবং একসঙ্গে চলাফেরা করতো। ভিকটিমের সাথে ৪ থেকে ৫ দিন আগে আসামি রিয়াজের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
সন্ধ্যায় জাহিদুল তার কয়েকজন বন্ধুসহ স্থানীয় কামলার টেক বাজারের হাশেমের চা দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিল। ওই সময় কিশোর গ্যাং সদস্য বখাটে রিয়াজ তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গসহ জাহিদুলের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় তাকে বাঁচাতে তার বন্ধু মনির এগিয়ে এলে তাকেও গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জাহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মনির ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তারা পরস্পর বন্ধু ছিল। তাদের পাশাপাশি বাড়ি। ছোটকাল থেকে তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতো। নিহত জাহিদুল আসামি রিয়াজকে নাম ধরে ডাকে। তখন আসামি রিয়াজ ভিকটিমকে বলে আমি কী তোর ছোট নাকি। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে করলে ভিকটিমের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।