জনগণকে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি নুরুল হক নুর।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
নুরুল হক নুর বলেন, আন্দোলন চলবে, ‘জনগণকে নিয়ে রাজপথে থাকেন। ৯০ শতাংশ সরকার পতন হয়ে গেছে। প্রশাসন ইতোমধ্যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর ১০ পারসেন্ট ধাক্কা দেওয়া দরকার।’
তিনি বলেন,
‘ঝুলিয়ে, চোখ বেঁধে আমাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটা মানা হচ্ছে না, খুব নির্যাতন করা হচ্ছে। সকলের মনোবল শক্ত থাকা দরকার। আমরা ভিতরে থাকলেও আমরা আছি।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে ভিপি নুরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৫/৬ হাজার আসামি উল্লেখ করেন। এ মামলায় নুরুল হক নুরসহ আরও বেশ কয়েকজন রিমান্ডে ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন-রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়।
তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।