15 C
Dhaka
Monday, December 23, 2024

যেসব শিক্ষক দালাল আবার ক্লাসেও পড়াতে পারে না তাদের ক্লাস না করার আহ্বান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষক গত ১৫ বছরে ডাকাত সর্দার হয়ে গিয়েছিলো, য়ুনিভার্সিটির যে ফান্ডামেন্টাল চরিত্র – সেই চরিত্রটাকে যারা বদলে দিয়েছিলো – এইসব শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করতে হবে। ঐসব পজিশন ওপেন করেন। সারা পৃথিবী থেকে বাংলাদেশী স্কলার এট্রাক্ট করতে পারবেন। এইটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।

আজ সোমবার (১২ আগষ্ট) লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম এ আহ্বান জানিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেন। তিনি বলেন, আমি হতবাক হয়ে গেছি বিভিন্ন কাহিনী শুনে। আমাদের সময়ে ঢাবির মাইক্রোবায়োলজিতে একজন শিক্ষিকা ছিলেন সাবিতা চৌধুরী। উনি খারাপ পড়াতেন (এটা কিন্তু মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের ঐতিহ্য- প্রায় সব শিক্ষকই বেশ খারাপ পড়াতেন) কিন্তু তিনি ভদ্রলোক ছিলেন – মিতবাকও ছিলেন। এই ২০ বছরে কী হোলো আল্লাহই জানেন – ওনার সম্বন্ধে যা শুনি – সেগুলা লেখা যাবে না। ক্ষমতা যে একজন স্বাভাবিক মানুষকে পুরা মনস্টার বানায় দেয় – এর প্রমাণ হলেন সাবিতা চৌধুরী। প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট এই ঠিক একই অবস্থা।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ, পিয়ন কারাগারে

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছাত্র রাজনীতি না – শিক্ষক রাজনীতি। এমন সব ইডিয়টদের এখানে শিক্ষক বানানো হয়েছে যাদের কোনো ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ মাইলের ভেতর যাওয়া উচিত না। আমাদের সময়ে এক শিক্ষক ছিলেন মালেক স্যার। আল্লাহ মাফ করুক – এই ধরনের আনকালচার্ড, টক্সিক, সামন্তীয় লোকদের কখনোই যেন কোনো ছাত্রকে শিক্ষক হিসেবে না পেতে হয়। এরা যেকোনো জায়গাকে কলুষিত করবে শুধু উপস্থিত থেকে। ধ্বংস করে দেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি আমার অনুরোধ: আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আন্দোলন না করে নেগোশিয়েশানে যান। যেইসব ইতর পড়াশোনার চেয়ে রাজনীতিকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছিলো – এদের কোনো চেঞ্জ হবে না। আপনারা প্রশাসনকে বলেন যে এদের কোনো ক্লাস আপনারা করবেন না। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটাকে দায়িত্ব হিসাবে দেখেন – সুযোগ হিসাবে না।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগের হামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক আহত

ফার্মেসির একজন শিক্ষক ছিলেন আজাদ চৌধুরী। উনি ১০০% আওয়ামী দালাল ছিলেন। কিন্তু উনি একজন ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষকও ছিলেন। এই ধরনের শিক্ষক কেউ থাকলে তাদের পিছনে লেগেন না। ইনকম্পিটেন্ট শিক্ষকদের বের করেন ঠিক ছাত্রলীগের মতো।

এতে আপনারা অনাগত সময়ের ছাত্রদের উপকার করবেন। মালেক স্যার, মাহফুজ স্যার – এই ধরনের মানুষকে যদি আপনার একদিন দেখতেও না হয় – এটা রহমত।

আমি মানি যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এই ক্ষমতা থাকা উচিত না যে তারা সবাই মিলে শিক্ষকদের বের করে দিবে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক লিট্রেলি আওয়ামী লীগের গুণ্ডা। এরা আসলে অনেক খারাপ জিনিস ডিজার্ভ করে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া একরকম রহমত বকশে দেয়া। আপনারা যদি আপনাদের প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসেন – আমার মনে হয় – এইটা আপনাদের প্রথম স্টেপ হওয়া উচিত।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন
জনপ্রিয় সংবাদ