গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করে। এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ১০০ দিন পার হয়ে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে ‘৫ আগস্ট কী হয়েছিল’ তা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন হান্নান মাসউদ। অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন’।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘জাতির কাছে এটি স্পষ্ট হওয়া দরকার, গত ৫ আগস্ট কী হয়েছিল’।
মাসউদ জানান, ‘৫ আগস্ট সেনানিবাসে ছাত্রদের বাদ দিয়েই সরকার গঠন করতে চেয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সব নেতা।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট আমরা যখন গুলি খাচ্ছিলাম, বাসা থেকে বের হতে পারছিলাম না, চাঁনখারপুলে লাশ পড়তেছিল, ঢাকা মেডিকেলে যখন লাশের সারি, তখন সেনানিবাসে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা গিয়েছিলেন বৈঠক করতে।
অথচ আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম তারা তখনো গুলির মধ্যে। তাদের খোঁজ কেউ নেয়নি। সেখান থেকে বের হয়ে বঙ্গভবনে যে মিটিং হয়েছিল, সেখানে তিনজনকে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ ছিল না। এভাবেই সেদিন গভর্নমেন্ট ফরমেশনের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল।’
মাসউদ আর বলেন, ‘সেদিন আমাদের মাইনাস করেই গভর্নমেন্ট ফরমেশন হতে যাচ্ছিল। সেখান থেকে আমরা গণঅভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডার হিসেবে আমাদের তিনজনকে দিয়েছি। অনেক তর্ক-বিতর্ক করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদকে দিয়েছি। আমরা আরও কয়েকজনকে চেয়েছিলাম কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। পরে মাহফুজ আবদুল্লাহকে যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্মের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। সেদিন বঙ্গভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্লাটফর্মের বাইরের তিনজনকে প্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’