অবশেষে ৯ দিন পর পরিচয় মিলেছে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলায় মায়ের মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা শিশুটির। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল মনসুরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আলিফ (২)।
শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাকিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার আলিফের খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন সৎ বোন হাসি আক্তার। এ সময় শিশু আলিফ তার বড় বোন হাসি আক্তারের কোলে পরম মমতায় দীর্ঘ সময় কাটায়।
নার্সরা জানান, আলিফ এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়। তবে আগের থেকে সুস্থ আছে। কিন্তু এখনো সে কোনো কথা বলছে না। আশা করছি দ্রুত সে সুস্থ হয়ে উঠবে।
হাসি আক্তার ও স্বজনরা জানায়, আলিফের বাবা আবুল মনসুর পেশায় একজন মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী। তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ায় তিনি আলিফের মা আনোয়ারাকে বিয়ে করেন। গত ২৮ মে আনোয়ারা তার সন্তান আলিফকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তাগাছা বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পরদিন গত ২৯ মে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার কাছিয়াকান্দা গ্রামের মেঠোপথে পাওয়া যায় আনোয়ারার মরদেহ।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, গণমাধ্যম ও ফেসবুকে শিশুটির ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তার পরিচয় জানা গেছে। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তারিকুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদের নির্দেশে জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিককে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।