সম্প্রতি সৌদি আরবে পবিত্র কাবাঘরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা। তার নাম হারুনুর রশিদ।
তার বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ঠাকুরদিঘী এলাকায়। স্থানীয়দের কাছে টোকাই হারুন নামেই অধিক পরিচিত তিনি।
জানা যায়, গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুশান্ত দাস গুপ্ত তার ফেসবুক পেজ থেকে আট সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। তবে ভিডিওটি কবে ধারণ করা সেটি জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, হারুনের বয়স প্রায় ৩৫ বছর। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন জীবনে স্কুলে না যাওয়া হারুন।
ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকায় গঠন করেন কিশোর গ্যাং। বাগান দখল থেকে অবৈধ বালি ও মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। তার বাহিনী নিয়ে হামলা ও সংঘর্ষের জড়াতেন তিনি। ঠাকুরদিঘী, পদুয়া বাজার ও লোহাগাড়া উপজেলা এলাকার দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করত হারুন বাহিনী।
আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও মারামারিতে সক্রিয় ছিল হারুন বাহিনী। তার ভীতিকর ছোটাছুটিতে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে হারুন সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক এমপি আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে ফেসবুকে তার একান্ত মুহূর্তের ছবি রয়েছে।
লোহাগাড়ার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা হারুন দুর্ধর্ষ ক্যাডার ছিলেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকায় মারামারি করতেন তিনি। চাঁদাবাজ হারুন পবিত্র কাবা শরিফে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।