শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে সরকার পতনের পর ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি, দেশের সংবিধান পুনরুদ্ধার এবং ছাত্র সংঘগুলোকে উজ্জীবিত কারর লক্ষ্যে এ আন্দোলন চলছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ছাত্রশাখা ইনসাফ স্টুডেন্ট ফেডারেশন (আইএসএফ) মূলত এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সেখানেও ধরপাকড় চলছে। মন্থর করে দেয়া হয়েছে দেশটির ইন্টারনেটের গতি।
দেশটির গণমাধ্যম দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, দেশটির ডাইকেট শহরে বৃহস্পতিবার সড়কে বিক্ষোভ ও র্যালি করার অভিযোগে ২৩ জন গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পিটিআইয়ের এক সংসদ সদস্যের ভাইও রয়েছে। মামলা হয়েছে দেড় শতাধিক পিটিআই কর্মীর বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানে ইন্টারনেটে সংযোগ অত্যন্ত ধীর হয়ে গেছে অভিযোগ করেছেন দেশটির ব্যবহারকারীরা। তবে এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি সরকার। ধারণা করা হচ্ছে দেশজুড়ে চলমান আন্দোলন প্রতিহত করতে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতেও একই রাস্তায় হেটেছিল তৎকালীন সরকার।
দেশটির ইন্টারনেট পরিষেবা সংস্থাগুলো এই সংকটের কোনো কারণ জানাতে পারেনি। সাংবাদিকরা ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির (পিটিএ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু পিটিএ থেকেও এ ইস্যুতে কোনো বক্তব্য-বিবৃতি পাওয়া যায়নি। ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ডেটা— উভয় ইন্টারনেট পরিষেবাতেই গতি কমে গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এই আন্দোলনের ভিডিও উজ্জীবিত করছে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদেরও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পষ্টতই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো বাংলাদেশী ছাত্রদের আন্দোলনে প্রভাবিত হয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ছাত্র শাখা ইনসাফ স্টুডেন্ট ফেডারেশন (আইএসএফ) বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
আইএসএফ নেতার ডনকে বলেছেন, পাকিস্তানে এখন ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ চলছে। এছাড়া অত্যাধিক বিদ্যুৎ বিল ও করের পাশাপাশি অভূতপূর্ব মুদ্রাস্ফীতির কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দেশের মানুষ।