19 C
Dhaka
Tuesday, December 24, 2024

ঝড়ের রাতে মায়ের মৃত্যু, দুই দিন ঝুলিয়ে রেখে দাফন হলো পানিতে

ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানার রাতে মারা যান বৃদ্ধা উরফুল বেগম (৮১)। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক জটিলতায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ছেলে। মায়ের মরদেহ নিয়ে বিপাকে পড়েন ছেলে। পরে গ্রাম-পুলিশের সহায়তায় মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় দুদিন। এরপর বুধবার (২৯ মে) জমে থাকা হাঁটু পরিমাণ পানির মধ্যেও কাঠের বাক্সে ভরে দাফন করা হয় তাকে।

ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালী ইউনিয়নের পায়রাতলা গ্রামে। বৃদ্ধা উরফুল বেগম ওই গ্রামের হোসেন আলী হাওলাদারের স্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ  স্বামীকে খুন করতে স্ত্রীর খুনি ভাড়া, অডিও ভাইরাল

জানা যায়, উরফুল বেগমের ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে। জীবিকার প্রয়োজনে তারা সবাই বাড়ির বাইরে থাকেন। বাড়িতে শুধু দেলোয়ার হাওলাদার নামে এক ছেলে থাকেন। বুধবার দাফনের দিনেও তার সব ছেলে-মেয়েরা এসে উপস্থিত হতে পারেননি।

দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, রোববার (২৬ মে) রাতে মা মারা যায়। বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় এবং পানির কারণে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। পরে প্রতিবেশী গ্রাম-পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখি। একটু পানি কমছে, বড় কষ্টে মাকে মাটি দিয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  সপরিবারে দেশ ছাড়লেন শামীম ওসমান

বারুইখালী ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য হালিমা বেগম বলেন, ওই নারী মারা গেছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম দিনে। খবর পেয়ে গ্রাম-পুলিশ ইউনুস আলী হাওলাদারের সহায়তায় মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শরণখোলায় প্রচুর পানি ওঠে। আমাদের এখানে একটি সরকারি খাল আছে, সেখানে বাঁধ দেয়ার কারণে পানি কোথাও নামতে পারেনি। পানির জন্য দাফন দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার গোসল করিয়ে বরফ দিয়ে রেখে দিয়েছিল। একটু পানি নামার পর বুধবার সকালে দাফন করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন:
সর্বশেষ সংবাদ পড়ুন
জনপ্রিয় সংবাদ