নওগাঁর আত্রাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলুসহ অন্তত ১৫ কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে আনোয়ার হোসেন বুলু, আত্রাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সুইট, ইয়াকুব আলী মজনু ও আনছার আলীর নাম পাওয়া গেছে। তারা আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আত্রাই মোল্লা আজাদ কলেজ মাঠে আনোয়ার হোসেন বুলু স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগের আয়োজন করেন। অন্যদিকে আহসানগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকায় নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল ইসলাম শেখ রেজু কর্মী সভা ডাকেন। এ নিয়ে দুপুরের পর থেকেই আত্রাইয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার কয়েকজন সমর্থক মোটরসাইকেলযোগে কলেজ মাঠে যাচ্ছিল। এ সময় রেজু শেখের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
কিছুক্ষণ পর আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জলিল চকলেটের নেতৃত্বে রেজু শেখের লোকজন আবারও রেল লাইনে পাথর ছুঁড়ে ও হামলা চালিয়ে সভাস্থলের মাইক ভাঙচুর এবং নেতাকর্মীদের মারপিট করে। দফায় দফায় হামলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ব্যাহত হয়। হামলায় আমিসহ আমার ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জলিল চকলেট সাংবাদিকদের বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেউ হতাহত হয়নি। আনোয়ার হোসেন বুলু ও তার ভাই আলমগীর কবির বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যে একইস্থানে সভা ডেকেছিল। নেতা ও কর্মী সমর্থকের অভাবে তারা সভা করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দু’জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে থানায় দু’পক্ষের কেউ কোনো মামলা বা অভিযোগ করেনি এখনো।