বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের দলনিরপেক্ষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দলটির ফেসবুক পেইজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট অন্তত ততোধিক নেতা।
ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনিও বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ডাকসুর সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। সেদিন ছাত্রলীগের দাপটে মধুতে সংবাদ সম্মেলন করতে না পারলেও সংগঠনটির এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই সরকারে ঠাঁই পেয়েছেন সংগঠনের দুই নেতা।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব পদে ছিলেন। এছাড়া ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। সম্প্রতি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ সমম্বয়ক দলনিরপেক্ষ এই ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন। এর মধ্যে সমম্বয়ক লুৎফর রহমান ও আরিফ সোহেল যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন। এছাড়া সমম্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম যুগ্ম সদস্য সচিব পদে ছিলেন।
এর বাইরে সমম্বয়ক আব্দুল কাদের ও তারেকুল ইসলাম সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক, আবু বাকের মজুমদার সদস্য সচিব এবং যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, আব্দুল হান্নান মাসউদ।
এছাড়া সদস্য হিসেবে মো. রাশিদুল ইসলাম রিফাত, হাসির আল ইসলাম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ যুক্ত ছিলেন। এমন এক সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করেছে, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।