‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ (সিজিআিই) স্টেজে বক্তব্য দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের কথা তুলে ধরেন তিনি। একপর্যায়ে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজসহ তিনজনকে স্টেজে ডেকে এনে আন্দোলনে তাদের ভূমিকা প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে একজনকে নিয়ে বিতর্ক ওঠায় তার নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাহফুজ আলম।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজের রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ পোস্ট দেন।
এর আগে অভিযোগ ওঠে, ড. ইউনূসের সঙ্গে সিজিআই ইভেন্ট যোগ দেওয়া জাহিন রোহান রাজিন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। এমনকি তার আন্দোলনে সম্পৃক্ততা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খানও তাকে নিয়ে স্ট্যাট্যাস দেন। তার রাজনৈতিক পরিচয়ও তুলে ধরেন তিনি।
স্ট্যাটাসে বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানের ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ লোক। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ।
মাহফুজ বলেন, ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারো সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।
তিনি বলেন, স্যার আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে তিনি দৌড়ে আসেন। আমি তাকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। এ ছাড়া বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমি অসহায় ছিলাম। এটি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকব এবং এই অনুপ্রবেশকারীদের এবং ৫ আগস্টের অন্যান্য আন্দোলনকারীদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসব।