ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যে কোনো হুমকি মোকাবিলা করতে পূর্ণ প্রস্তুত আছে ইরান।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ সব কথা লেখেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে তেলআবিবের নিকটবর্তী তিনটি সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-২’ নামের অভিযান চালিয়েছে ইরান।
এ বিষয়ে তার দেশ ইহুদিবাদী ইসরায়েলি আগ্রাসনের একটি নিষ্পত্তিমূলক জবাব দিয়েছে উল্লেখ করে পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ইরান ও পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, ন্যায়সঙ্গত অধিকার অনুযায়ী, ইহুদিবাদী ইসরাইলি আগ্রাসনের একটি নিষ্পত্তিমূলক জবাব দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের এক্স পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ইরানি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জেনে রাখা উচিত যে, ইরান যুদ্ধবাজ নয়। কিন্তু দেশটি যে কোনো আগ্রাসন বা হুমকি মোকাবিলা করতে পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
এ ছাড়া তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে যে অভিযান চালানো হয়েছে সেটি ইরানের সামরিক সক্ষমতার ক্ষুদ্র একটি অংশ মাত্র। কাজেই ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে আসবেন না।
প্রসঙ্গত, লেবাননে সম্প্রতি মিত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলে অভূতপূর্ব মিসাইল হামলা চালিয়ে নিজেদের কথার প্রমাণ দিয়েছে তেহরান।
কিছু বুঝে ওঠার আগে চালানো ওই হামলায় নিজেদের সাফল্য দাবি করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী। তারা বলছে, ৯০ শতাংশ মিসাইল নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। বাহিনীটির বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম জানায়, ইসরায়েলের বিমানঘাঁটি ও রাডার অবকাঠামো মিসাইল হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। এছাড়া ইরানের প্রক্সি যোদ্ধাদের কমান্ডারদের হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদেরও টার্গেট করা হয়।