মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক প্রাইভেটকার চালকের আলিশান বাড়ি নির্মাণ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই ড্রাইভারের নাম আতিকুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর দেশের একটি জাতীয় দৈনিক এক প্রতিবেদনে তার বিত্তবৈভবের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
আতিকুর আর দশজনের মতো সাধারণ কোনো গাড়িচালক নন। সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের গাড়িচালক ছিলেন তিনি। মন্ত্রী পরিবারের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে এসব সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে আতিকের বিরুদ্ধে।
আতিকুর রহমান (৩৮) সিংগাইর পৌর এলাকার কাশিমনগর মহল্লার মৃত লেহাজুদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে আতিকের রয়েছে দুই কোটি টাকার দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। পাশাপাশি ঢাকায় শুরু করেন জেন্টস পার্লার ও রেস্টুরেন্টের ব্যবসা। আতিক ১৮ হাজার টাকা বেতনে সামান্য গাড়ি চালকের চাকরি করে কিভাবে শহরে একাধিক ব্যবসা ও গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেন। বিষয়টি টক অব দ্য সিংগাইরে পরিণত হয়েছে।
আতিকের ছোট বোন রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ভাই ঢাকায় চাকরি ও ইটের ব্যবসা করেন। পাঁচ-ছয় বছর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন। এখন ছোট খাটো সাহেবের গাড়ি চালায়।
আতিকের মা ছাহেলা খাতুন বলেন, বাড়ি নির্মাণে দুই কোটি টাকার মতো ব্যয় তো হবেই। আমার ছেলেটা এখন চাপের মধ্যে আছে। বিভিন্ন লোকজন বাড়িতে এসে টাকাপয়সা দাবি করে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আতিকুর রহমানের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
সিংগাইর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুস বলেন, আমাদের কাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা। তদন্তের এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে এ বিষয়ে দুদকে কেউ অভিযোগ করলে কমিশন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজ উল্লাহ বলেন, কেউ এ রকম হয়ে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা আমার দুদক চায়; পিপি হিসেবে আমিও চাই। তবে আমাদের কাছে কোনো রেকর্ড না আসা পর্যন্ত আমলে নিতে পারি না।