ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তখন থেকেই বোন রেহানাসহ দেশটিতে অবস্থান করেছেন তিনি।
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সব লাল পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে রাজনৈতিক দাবিও উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানালে ভারত কী করবে ? বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো না দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, অল্প সময়ের নোটিশে শেখ হাসিনা নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন। সে অনুযায়ী তাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রশ্ন অনুমাননির্ভর।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা আইনগতভাবে ৪৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন। ইতোমধ্যেই তিন সপ্তাহের বেশি সময় দেশটিতে পার করে ফেলেছেন তিনি। তবে ৪৫ দিন পার হলে কীসের ভিত্তিতে তাকে ভারতে রাখা হবে বা এর আগেই তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনাকে পাঠানো হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এদিনের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়ে আরো একাধিক প্রশ্ন করা হলেও কোনো উত্তর দেননি জয়সওয়াল। কিন্তু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পেছনে ভারতের দায়ী থাকার বিষয়টি ফের নাচক করেছেন তিনি।
দেশটির দাবি, বাংলাদেশে বন্যার কারণ ভারী বৃষ্টি। এতে তাদের কোনো হাত নেই। তবে বন্যা ঠেকাতে বাংলাদেশের নতুন প্রস্তাব বিবেচনার ইঙ্গিত দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র।